দৈনিক শিক্ষা ডেস্কঃ
“কতটুকু অশ্রু গড়ালে হৃদয় জলে সিক্ত’ কত প্রদীপ শিখা জ্বালালেই জীবন আলোয় উদ্দীপ্ত,কত ব্যথা বুকে চাপালেই তাকে বলি আমি ধৈর্য’ নির্মমতা কতদূর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ”
থামিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রিয়দেশের সূর্য সন্তানদের,
ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে জাতির মেরুদণ্ড। ইতিহাস ও
জানবে না এ প্রজন্ম! জানলেও লাভ কি ভুলতে আমরা
বড্ড পারদর্শী – পিলখানা হত্যাকান্ডের ১২ বছর।
বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম একটি ভয়ানক ও কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয় ২৫শে ফেব্রুয়ারি। ২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে এক ন্যাক্কারজনক হত্যাযজ্ঞ হয়, বাংলার গর্ব, জাতির সূর্যসন্তানদের নিমর্মভাবে গুলি করে ও গ্রেনডের আঘাতে প্রাণ দিতে হয়েছিল, যেখানে প্রাণ হারায় ১ জন মেজর জেনারেল,২ জন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল,১২ জন কর্নেল,১২ জন লেফটেন্যান্ট কর্নেল,২৫ জন মেজর,১ জন ক্যাপ্টেনসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন।
১৯৭১সালে আমরা হারিয়েছিলাম ৫১জন সেনাকর্মকর্তা আর স্বাধীনতার ৩৮ বছর পর হারিয়েছি ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তা।
পৃথিবীর ইতিহাসে এই রকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা আর কোথায়ও হয়নি। বাংলাদেশ এই বীরসেনাদের ঘাটতি কখনো পূরণ করতে পারবে না। আজও হয়নি ৫৭জন সৈনিকের তাজা রক্তের বিচার! দীর্ঘ ১২ বছর পরেও জাতি জানতে পারলোনা কেন তাদের তাজা প্রাণ এতো নৃশংসভাবে কেড়ে নেয়া হয়েছিলো?
কতটুকু অশ্রু গড়ালে হৃদয় জলে সিক্ত” কত প্রদীপ শিখা জ্বালালেই জীবন আলোয় উদ্দীপ্ত,কত ব্যথা বুকে চাপালেই তাকে বলি আমি ধৈর্য”নির্মমতা কতদূর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ?
পিলখানার হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি,আল্লাহ সবাইকে জান্নাতবাসী করুন।(সংগৃহিত)
Leave a Reply